জীববিজ্ঞানের শাখা |
ফরাসী বিজ্ঞানী ল্যামার্ক (১৭৪৪-১৮২৯) জীবনের বিজ্ঞান বোঝাতে Biology শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। বিজ্ঞানের যে শাখায় জীব ও জীবন সংক্রান্ত গবেষণা করা হয় তাকে জীববিজ্ঞান বলা হয় । জীববিজ্ঞানের ইংরেজি প্রতিশব্দ বায়োলজি (Biology) । শব্দটি গ্রিক bios (জীবন) এবং logos(বিজ্ঞান) শব্দ-দু’টির সমন্বয়ে গঠিত।জীববিজ্ঞান বেশ প্রাচীন বিজ্ঞান। সভ্যতার আদিকাল হতে জীববিজ্ঞানের চর্চা হয়েছে। সেই সাথে তৈরি হয়েছে বিজ্ঞান বিষয়টির পাঠের বিভিন্ন ক্ষেত্র ও শাখা-প্রশাখা। আজকে আমরা জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা ও তাদের আলোচ্য বিষয় গুলো দেখে নেব।
জীববিজ্ঞানের শাখা
জীববিজ্ঞানের দুটি প্রধান শাখা হল-i) ভৌত বিজ্ঞান
ii) ফলিত জীববিজ্ঞান
ভৌত জীববিজ্ঞান
জীববিজ্ঞানের যে শাখায় তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ভৌত জীববিজ্ঞান বলা হয়। ভৌত জীববিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় গুলো হল:
• অঙ্গসংস্থান বা মরফোলজি
• শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা বা ট্যাক্সোনমি
• শারীর বিদ্যা বা ফিজিওলজি
• হিস্টলজি
• ভ্রূণবিদ্যা বা এমব্রায়োলজি
• কোষ বিদ্যা বা সাইটোলজি
• বংশগতিবিদ্যা বা জেনেটিক্স
• বিবর্তনবিদ্যা বা ইভোল্যুশন
• বাস্তুবিদ্যা বা ইকোলজি
• এন্ডোক্রাইনোলজি বা হরমোন বিদ্যা
• বায়োজিওগ্রাফি বা জীবভূগোল
• অঙ্গসংস্থান বা মরফোলজি
• শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা বা ট্যাক্সোনমি
• শারীর বিদ্যা বা ফিজিওলজি
• হিস্টলজি
• ভ্রূণবিদ্যা বা এমব্রায়োলজি
• কোষ বিদ্যা বা সাইটোলজি
• বংশগতিবিদ্যা বা জেনেটিক্স
• বিবর্তনবিদ্যা বা ইভোল্যুশন
• বাস্তুবিদ্যা বা ইকোলজি
• এন্ডোক্রাইনোলজি বা হরমোন বিদ্যা
• বায়োজিওগ্রাফি বা জীবভূগোল
ফলিত জীববিজ্ঞান
জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবন সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ফলিত জীববিজ্ঞান বলে। ফলিত জীববিজ্ঞানের শাখাগুলো হল:
• জীবাশ্মবিজ্ঞান
• জীবপরিসংখ্যানবিদ্যা
• পরজীবী বিদ্যা
• মৎস্য বিজ্ঞান, সামুদ্রিক বিজ্ঞান
• কীটতত্ত্ব
• অনুজীব বিজ্ঞান
• কৃষিবিজ্ঞান, বন বিজ্ঞান
• চিকিৎসা বিজ্ঞান
• জিন প্রযুক্তি
• প্রাণরসায়ন
• পরিবেশ বিজ্ঞান, বন্য প্রাণিবিদ্যা
• জীব প্রযুক্তি
• ফার্মেসি
• বায়োইনফরমেটিক্স
চলুন দেখে নেওয়া যাক জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা এবং তাদের আলোচ্য বিষয় গুলো।
১. অঙ্গসংস্থান বিদ্যা (Morphology): জীবের সার্বিক অঙ্গসংস্থানিক বা দৈহিক গঠন বর্ণনা এ শাখার আলোচ্য বিষয়। দেহের বাহ্যিক বর্ণনার বিষয়কে বহিঃ অঙ্গসংস্থান (External Morphology) এবং দেহের অভ্যন্তরীণ বর্ণনার বিষয়কে অন্তঃ অঙ্গসংস্থান (Internal Morphology) বলা হয়।
২. শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা বা ট্যাক্সোনমি (Taxonomy): জীবের শ্রেণিবিন্যাস এবং তার রীতিনীতিগুলো এ শাখার আলোচিত বিষয়।
৩. শারীরবিদ্যা (Physiology): জীবদেহের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জৈবরাসায়নিক কার্যাদি যেমন: শ্বসন, রেচন, সালোকসংশ্লেষণ এ শাখায় পাওয়া যায়।
৪. হিস্টোলজি (Histology): জীবদেহের টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস এবং কার্যাবলি এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
৫. ভ্রুণবিদ্যা (Embryology): জনন কোষের উৎপত্তি, নিষিক্ত জাইগোট থেকে ভ্রূণের সৃষ্টি, গঠন, পরিস্ফুটন, বিকাশ প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা এ শাখার প্রধান বিষয়।
৬. কোষবিদ্যা (Cytology): জীবদেহের কোষের গঠন, কার্যাবলি ও বিভাজন সম্পর্কে যাবতীয় আলোচনা এ শাখার বিষয়।
৭. বংশগতিবিদ্যা বা জেনেটিক্স (Genetics): জিন ও জীবের বংশগতিধারা সম্পর্কে এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
৮. বিবর্তনবিদ্যা (Evolution):পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ, জীবের বিবর্তন এবং ক্রমবিকাশের তথ্যসমূহের আলোচনা এ শাখার বিষয়।
৯. বাস্তুবিদ্যা (Ecology): এ শাখায় প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে জীবের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
১০. এন্ডোক্রাইনোলজি (Endocrinology): জীবদেহে হরমোনের কার্যকারিতা বিষয়ক আলোচনা এ শাখার বিষয়।
১১. জীবভূগোল (Biogeography): এ শাখায় পৃথিবীর বিভিন্ন ভৌগলিক সীমারেখায় জীবের বিস্তৃতি এবং অভিযোজন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। জীবের ভৌগলিক বিস্তারের সাথে ভূমন্ডলের শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কিত বিদ্যা।
১২. জীবাশ্মবিজ্ঞান (Paleontology): প্রাগৈতিহাসিক জীবের বিবরণ এবং জীবাশ্ম সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১৩. জীবপরিসংখ্যানবিদ্যা (Biostatistics): জীবপরিসংখ্যান বিষয়ক বিজ্ঞান।
১৪. পরজীবীবিদ্যা (Parasitology): পরজীবিতা, পরজীবী জীবের জীবনপ্রণালি এবং রোগ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১৫. মৎস্যবিজ্ঞান (Fisheries): মাছ, মাছ উৎপাদন, মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১৬. কীটতত্ত্ব (Entomology): কীটপতঙ্গের জীবন, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি, দমন ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১৭. অণুজীববিজ্ঞান (Microbiology): ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, আণুবীক্ষণিক ছত্রাক এবং অন্যান্য অণুজীব সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১৮. কৃষিবিজ্ঞান (Agriculture): কৃষি বিষয়ক বিজ্ঞান।
১৯. চিকিৎসাবিজ্ঞান (Medical Science): মানবদেহ, রোগ, চিকিৎসা ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
২০. জিনপ্রযুক্তি (Genetic Engineering): জিনপ্রযুক্তি ও এর ব্যবহার সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
২১. প্রাণরসায়ন (Biochemistry): জীবের প্রাণরাসায়নিক কার্যপ্রণালি, রোগ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
২২. পরিবেশবিজ্ঞান (Environmental Science): পরিবেশ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
২৩. সামুদ্রিক জীববিজ্ঞান (Oceanography): সামুদ্রিক জীব সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
২৪. বনবিজ্ঞান (Forestry): বন, বন সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
২৫. জীবপ্রযুক্তি (Biotechnology): মানব এবং পরিবেশের কল্যাণে জীব ব্যবহারের প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
২৬. ফার্মেসি (Pharmacy): ঔষধশিল্প ও প্রযুক্তিবিষয়ক বিজ্ঞান।
২৭. বন্য প্রাণিবিদ্যা (Wildlife): বন্যপ্রাণী বিষয়ক বিজ্ঞান।
২৮. বায়োইনফরমেটিকস (Bioinformatics): কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর জীববিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য, যেমন ক্যানসার বিশ্লেষণ বিষয়ক বিজ্ঞান।
• জীবপরিসংখ্যানবিদ্যা
• পরজীবী বিদ্যা
• মৎস্য বিজ্ঞান, সামুদ্রিক বিজ্ঞান
• কীটতত্ত্ব
• অনুজীব বিজ্ঞান
• কৃষিবিজ্ঞান, বন বিজ্ঞান
• চিকিৎসা বিজ্ঞান
• জিন প্রযুক্তি
• প্রাণরসায়ন
• পরিবেশ বিজ্ঞান, বন্য প্রাণিবিদ্যা
• জীব প্রযুক্তি
• ফার্মেসি
• বায়োইনফরমেটিক্স
চলুন দেখে নেওয়া যাক জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা এবং তাদের আলোচ্য বিষয় গুলো।
১. অঙ্গসংস্থান বিদ্যা (Morphology): জীবের সার্বিক অঙ্গসংস্থানিক বা দৈহিক গঠন বর্ণনা এ শাখার আলোচ্য বিষয়। দেহের বাহ্যিক বর্ণনার বিষয়কে বহিঃ অঙ্গসংস্থান (External Morphology) এবং দেহের অভ্যন্তরীণ বর্ণনার বিষয়কে অন্তঃ অঙ্গসংস্থান (Internal Morphology) বলা হয়।
২. শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা বা ট্যাক্সোনমি (Taxonomy): জীবের শ্রেণিবিন্যাস এবং তার রীতিনীতিগুলো এ শাখার আলোচিত বিষয়।
৩. শারীরবিদ্যা (Physiology): জীবদেহের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জৈবরাসায়নিক কার্যাদি যেমন: শ্বসন, রেচন, সালোকসংশ্লেষণ এ শাখায় পাওয়া যায়।
৪. হিস্টোলজি (Histology): জীবদেহের টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস এবং কার্যাবলি এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
৫. ভ্রুণবিদ্যা (Embryology): জনন কোষের উৎপত্তি, নিষিক্ত জাইগোট থেকে ভ্রূণের সৃষ্টি, গঠন, পরিস্ফুটন, বিকাশ প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা এ শাখার প্রধান বিষয়।
৬. কোষবিদ্যা (Cytology): জীবদেহের কোষের গঠন, কার্যাবলি ও বিভাজন সম্পর্কে যাবতীয় আলোচনা এ শাখার বিষয়।
৭. বংশগতিবিদ্যা বা জেনেটিক্স (Genetics): জিন ও জীবের বংশগতিধারা সম্পর্কে এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
৮. বিবর্তনবিদ্যা (Evolution):পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ, জীবের বিবর্তন এবং ক্রমবিকাশের তথ্যসমূহের আলোচনা এ শাখার বিষয়।
৯. বাস্তুবিদ্যা (Ecology): এ শাখায় প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে জীবের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
১০. এন্ডোক্রাইনোলজি (Endocrinology): জীবদেহে হরমোনের কার্যকারিতা বিষয়ক আলোচনা এ শাখার বিষয়।
১১. জীবভূগোল (Biogeography): এ শাখায় পৃথিবীর বিভিন্ন ভৌগলিক সীমারেখায় জীবের বিস্তৃতি এবং অভিযোজন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। জীবের ভৌগলিক বিস্তারের সাথে ভূমন্ডলের শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কিত বিদ্যা।
১২. জীবাশ্মবিজ্ঞান (Paleontology): প্রাগৈতিহাসিক জীবের বিবরণ এবং জীবাশ্ম সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১৩. জীবপরিসংখ্যানবিদ্যা (Biostatistics): জীবপরিসংখ্যান বিষয়ক বিজ্ঞান।
১৪. পরজীবীবিদ্যা (Parasitology): পরজীবিতা, পরজীবী জীবের জীবনপ্রণালি এবং রোগ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১৫. মৎস্যবিজ্ঞান (Fisheries): মাছ, মাছ উৎপাদন, মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১৬. কীটতত্ত্ব (Entomology): কীটপতঙ্গের জীবন, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি, দমন ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১৭. অণুজীববিজ্ঞান (Microbiology): ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, আণুবীক্ষণিক ছত্রাক এবং অন্যান্য অণুজীব সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১৮. কৃষিবিজ্ঞান (Agriculture): কৃষি বিষয়ক বিজ্ঞান।
১৯. চিকিৎসাবিজ্ঞান (Medical Science): মানবদেহ, রোগ, চিকিৎসা ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
২০. জিনপ্রযুক্তি (Genetic Engineering): জিনপ্রযুক্তি ও এর ব্যবহার সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
২১. প্রাণরসায়ন (Biochemistry): জীবের প্রাণরাসায়নিক কার্যপ্রণালি, রোগ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
২২. পরিবেশবিজ্ঞান (Environmental Science): পরিবেশ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
২৩. সামুদ্রিক জীববিজ্ঞান (Oceanography): সামুদ্রিক জীব সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
২৪. বনবিজ্ঞান (Forestry): বন, বন সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
২৫. জীবপ্রযুক্তি (Biotechnology): মানব এবং পরিবেশের কল্যাণে জীব ব্যবহারের প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
২৬. ফার্মেসি (Pharmacy): ঔষধশিল্প ও প্রযুক্তিবিষয়ক বিজ্ঞান।
২৭. বন্য প্রাণিবিদ্যা (Wildlife): বন্যপ্রাণী বিষয়ক বিজ্ঞান।
২৮. বায়োইনফরমেটিকস (Bioinformatics): কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর জীববিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য, যেমন ক্যানসার বিশ্লেষণ বিষয়ক বিজ্ঞান।
0 মন্তব্যসমূহ
If it seems any informative mistake in the post, you are cordially welcome to suggest fixing it.